শিক্ষা উপকরণ সম্বলিত একখানা বিজ্ঞানাগার স্থাপন করেন।এর ফলশ্রুতিতে এস.এস.সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শতভাগ সফলতা অর্জন করে আসছে এবং বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস সহ G.P.A 5.00 পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে চলছে।
শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি বিদ্যালয়টি খেলাধুলায় ও পিছনে নেই। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে পুরস্কৃত হচ্ছে এবং জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে যথেষ্ট অবদান রাখছেন।
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে বিদ্যালয়ে একটি মান সম্মত পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই এর পাশাপাশি পাঠাগার থেকে বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে চলছে।
সুযোগ্য ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক এর মাধ্যমে পাঠাগারটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
বর্তমানে পাঠাগারে মোট ১২০০ টি বই মজুদ রয়েছে। ইহা ছাড়াও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক বই পড়া কর্মসূচি চালু রয়েছে এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বাবদ বই প্রদান করা হচ্ছে এতে করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদানের পাশাপাশি সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীও চালু রয়েছে। সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীর অংশ হিসাবে প্রতিবছর বিদ্যালয়টিতে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আয়োজন শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন সহ উপজেলা ভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং সফলতা বয়ে আনছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ২.১৯ শতাংশ। অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে ৮ কক্ষ বিশিষ্ট একখানা দ্বিতল ভবন,২ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন, একটি আধুনিক একতলা ভবন এবং একটি টিনশেড ভবন। এছাড়াও রয়েছে সরকার প্রদত্ত মানসম্মত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭৫৫ জন এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১২ জন শিক্ষকসহ মোট ২০ জন স্টাফ। ৩২ সদস্যের একটি স্কাউট দল এবং ৪০ জন সদস্যের একটি গার্লস গাইড দল। এছাড়াও বিজ্ঞান ক্লাব, লেংগুয়েজ ক্লাব ও বিতর্ক ক্লাব রয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাখা,মানবিক শাখা ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০১০ ইং হতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম বছরই শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। সর্বোচ্চ গ্রেড A+ অর্জনসহ জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেছে। সফলতার এই ধারা অব্যাহত আছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পাশাপাশি পিটিএ(শিক্ষক অভিভাবক সমিতি)গঠন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উক্ত সমিতি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এক অভাবনীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
পরিশেষে বলা যায়, যে সমস্ত গুণী ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক চেষ্টায় বিদ্যালয়টি হাটি হাটি পা পা করে বর্তমান অবস্থায় রুপ নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মরহুম মোঃ আবু আহাম্মেদ, মরহুম মহিউদ্দিন (সোনা মিয়া) মাস্টার, মরহুম মোঃ মমতাজ উদ্দিন মাস্টার, মরহুম এ কে এম কামরুজ্জামান শাহ আলম এবং মরহুম এ এন এম নুরুজ্জামান (বিগ্রেডিয়ার জেনারেল)।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব এ বি এম সেলিমুজ্জামান সাহেব, অতিরিক্ত সচিব (অব:) মনিরুজ্জামান সাহেব এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বিদ্যালয়টি দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।